স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পে উদ‍্যোগীদের সাহায‍্য প্রদান হুগলীতে

3rd July 2020 11:40 am হুগলী
স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পে উদ‍্যোগীদের সাহায‍্য প্রদান হুগলীতে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( চুঁচুড়া ) : স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পে ৬২ জন উদ্যোগীর হাতে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন হুগলির জেলা শাসক।সরকারী ভর্তুকি ৪৫ লক্ষ টাকা। জেলা শাসকের দপ্তরে গতিধারা হলে এক অনুষ্ঠানে গোষ্ঠী সদস্যদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হয়।স্টিল ও কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসা,প্রসাধনী সামগ্রী,মুদিখানা,ইলেক্টিকের যন্ত্রাংশ,রেডিমেড পোষাক ও বই বাঁধানো ব্যবসা করার জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়।করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছেন।অনকের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে।এখন এই পরিস্থিতিতে অনেকেই চাইছেন কিছু ব্যবসা করতে।কিন্তু টাকার যোগান হবে কি করে? এই সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার।৩০ শতাংশ সাবসিডি দিয়ে ঋণ দেওয়া হয় হুগলি জেলার বিভিন্ন ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে।জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানান,নিজেদের প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে চান যারা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার।এস ভি এস কে পি প্রকল্পের সাহায্যে।করোনা থেকে এখনই নিষ্কৃতি মিলছে না।সাবধানতা নেওয়ার পাশাপাশি সব কাজকর্ম যেমন করতে হবে তেমন ব্যবসাও করতে হবে।অর্থনীতি চালাতে হবে।করোনা করোনার কাজ করবে সরকারী প্রকল্পের কাজও চলবে, বলেন জেলা শাসক।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।